প্রতিটি কর্মদিবস হতে এক ঘন্টা করে সময় বের করে নিলে বছরে আপনি ২৬০ ঘন্টা বা পূর্ণ ৩২ টি কর্মদিবস পাবেন এবং এরূপ সময়কালে অনেক বড় কাজ সম্পাদন করে নিতে পারবেন। এসময়ে আপনি যা করতে পারবেন তা একটি তলিকা দিচ্ছি।

কুরআন শরীফের বহু অংশ মুখস্থ করতে পারবেন;

কতগুলি নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন;

আপনার বাসস্থানের আশেপাশে সর্বোত্তম সুন্দর বাগান বা এমন কিছু গড়তে পারবেন যা মনের খোরাক হয়ে আপনাকে আনন্দ দিতে পারবে।

একটি বিদেশী ভাষা শিখতে পারবেন;

একটি বই লিখতে পারবেন অথবা

একটি বিষয়ে ডিপ্লোমা করতে পারবেন।

আর জীবনের সহস্র ছোট ছোট ঘটনার বেড়াজালে যে সময় উড়ে যায় প্রতিনিয়ত, কিছুটা হলেও তাকে বেঁধে ফেলতে হবে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা দিয়ে। এই সঞ্চয় কোন ক্রমেই ক্ষুদ্র নয়, বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের একত্রীকরণের মাধ্যমে সঞ্চিত এক বিশাল সময় ভান্ডার।

সময়ের বহমান স্রোত

কোন কোন বিশেষ কাজের জন্য আপনি সাধারণত আপনার সময়সূচি রক্ষা করে চলেন। আপনি যে কাজ সম্পাদন করতে চান সে জন্যে যে সময় বের করা দরকার তার জন্যও তা করুন। সে জন্য প্রত্যেক দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বের করে নিন এবং তারপর যথাসাধ্য তা রক্ষার চেষ্টা করুন। সুতরাং মূল কথা দাঁড়ালো- যদি করণীয় কয়েকটি কাজের জন্যে সময় বের করতে চান তাহলে আপনার ব্যস্ততার তালিকায় এদের জন্য অবশ্যই পরিকল্পনা করে প্রোগ্রাম করে নিতে হবে। যদি আপনি সঠিক সময়টি আসার জন্য অপেক্ষা করতে চান তাহলে চিরদিনই সে জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

মাঝারি বয়স কালের একটি জীবনে আপনি আপনার সময় কিভাবে ব্যয় করতে পারেন তা চার্টে দেখানো হয়েছে-

কাজ-সময়=
জুতার ফিতা বেঁধে ৮ দিন
ট্রাফিক লাইনের বাতির দিকে তাকিয়ে ১ মাস
নাপিতের দোকানে ব্যয়িত সময় ১ মাস
টেলিফোনের ডায়াল ঘুরিয়ে ১ মাস
বড় শহরে লিফটে চড়ে ৩ মাস
নিজের দাঁত মেজে ৩ মাস
শহরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ৫ মাস
গোসল খানায় ব্যয়িত সময় ৬ মাস
বই পড়ে ২ বছর
খাওয়া-দাওয়ার সময় ৪ বছর
জীবিকা উপার্জনে ব্যয়িত সময় ৯ বছর
টেলিভিশন দেখে ১০ বছর
ঘুমিয়ে ২০ বছর