চাকরির প্রস্তুতি- Job Solution

চাকরি-


প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে ডিগ্রি অনুযায়ী একটি চাকুরি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই স্বাভাবিক ঘটনাটাই আমাদের দেশে একন নানা বিবেচনায় অস্বাভাবিকতায় রূপ নিয়েছে। ডিগ্রি এখন চাকুরিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত কিন্তু চাকুরিতে চান্স পাবার বেলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিগ্রির ভূমিকা গৌণ। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান একজন প্রার্থীকে অধিকাংশ চাকুরির পরীক্ষায় খুব বেশি সাহায্য করে না। যা সাহায্য করে তা হলো সাধারণ জ্ঞান। যেমন-

ক) সাধারণ জ্ঞান হিসেবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

খ) সাধারণ জ্ঞান হিসেবে বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী।

গ) মানসিক দক্ষতা বা মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান।

কিন্তু সাধারণ জ্ঞান কথাটি যত সাধারণ পরীক্ষার হলে সাধারণ জ্ঞান তার চেয়ে বহুগুণ অসাধারণ। চাকুরির বাজারের অসহনীয় এবং অভাবনীয় প্রতিযোগিতার কারণে চাকুরিদাতাগণ সীমিত সংখ্যক প্রার্থীকে গ্রহণের চেয়ে বহুসংখ্যক প্রার্থীকে বর্জনের বিষয়টিই আগে ভাবেন। ফলাফল যা দাঁড়ায় তাহলো- সাধারণ জ্ঞান তার সীমা পেরিয়ে অসাধারণতায় রূপ নেয়, আর চাকুরির পরীক্ষা না হয়ে, হয়ে যায় বর্জনের প্রক্রিয়া। এই বর্জনের প্রক্রিয়ায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা আওতায় ক্রমাগত/ নিয়মিত সময়, শ্রম, ধৈর্য এবং অর্থের বিনিয়োগ। পরিমাণগত দিক থেকে অর্থ যৎকিঞ্চিৎ অর্থাৎ এককালীন বড় জোর একহাজার এবং প্রতিমাসে ন্যূনতম পঞ্চাশ টাকা। (বিবিএস- এর প্রস্তুতি অংশের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও বইসমূহ দেখুন)।

সময়ের বিষয়টি অন্যতম বিবেচ্য একারণে যে, যদি প্রার্থী উচ্চ শিক্ষা শেষে চাকুরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তাহলে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন আট থেকে দশ ঘন্টা এখাতে চাকুরি না পাওয়া পর্যন্তব্যয় করতে হবে। কিন্তু যারা উচ্চশিক্ষার শুরুতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন তারা একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকুরি পরীক্ষার একটি মানসিক প্রস্তুতি স্মরণে রাখবেন এবং প্রতিদিন অবসরে কিন্তু সচেতনে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় এখাতে বিনিয়োগ করবেন। প্রতিদিনের ২০ মিনিট শিক্ষা শেষে আপনাকে এমন এক অর্জনের মুখোমুখি দাঁড় করাবে যে প্রত্যাশিত চাকুরি অনায়াসে আপনার হাতে ধারা দিবে। অনেক ক্ষেত্রেই সময় আমাদের সমস্যা নয়, কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যবস্থাপনা। সময় ব্যবস্থাপনায় আপনি যেন হেরে না যান- এ কারণে আপনার থাকা দরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অপরিসীম ধৈর্য। একারণে আমরা সময়, শ্রম এবং অর্থের সাথে ধৈর্যকে সফলতায় সোপান হিসেবে বিবেচানয় নিতে চাই।

বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষায় কিভাবে সফল হবেন

পূর্ব প্রসঙ্গ

বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার জন্য মেধাতালিকাভুক্ত শিক্ষার্থী হওয়ার দরকার নেই। এখানে যেটা দরকার, তাহলো, বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্ব সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা, যা মেধাতালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদেরই বরং থাকার সম্ভাবনা কম। যারা প্রথম শ্রেণীতে প্রথমস্থান পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন, তারা পাঠ্যসুচির বাইরে যাওয়ার অল্পই সুযোগ পান। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, খেরাধূলা ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি সঙ্গত কারণেই তাদের জানা হয়ে ওঠে না। পক্ষান্তরে যাদের আশৈশব নেশা রাজনীতি ও খেলাধুলার প্রতি, যারা পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীর পাতায় বুঁদ হয়ে থাকতে ভালবাসেন, কানে ট্রানজিস্টার লাগিয়ে খেলার ধারাবিবরণী শোনেন, তারা সমগ্র শিক্ষাজীবনে মধ্যম মানের হয়েও বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষা অনায়াসে উত্তীর্ণ হয়ে যান। এখানেই প্রশ্ন দাঁড়ায়, বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মানদণ্ড তাহলে কোনটি?

বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষার মানদণ্ড

সাধারণভাবে বিসিএস (মৌখিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ৭টি আবশ্যিক মানদণ্ড রয়েছে। ভাইভাবোর্ডের সদস্যগণ আশা করেন সাক্ষাৎকার প্রার্থীগণ ন্যুনতম এ সকল মানদণ্ড বজায় রেখেই ইন্টারভিউবোর্ডে হাজির হবেন। এই মানদন্ডগুলি হলো-

(ক) প্রার্থীর সপ্রতিভা চেহারা, সাবলিল বাচনভঙ্গী ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব;

(খ) নিজের অধ্যয়নকৃত বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা (উক্ত বিষয়ে সর্বশেষ নোবেলবিজয়ীর নামসহ);

(গ) নিজের জন্মস্থান সম্পর্কে খুটিঁনাটি জ্ঞান (উক্ত স্থানে জন্মগ্রহণকারী খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গের জীবন-বৃত্তান্তসহ);

(ঘ) প্রার্থী যে ক্যাডার বা পদে যেতে ইচ্ছুক, ঐ ক্যাডার বা পদ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা;

(ঙ) প্রার্থী তার পছন্দের ক্যাডার/ পদ-এ কেন যেতে ইচ্ছুক, তার গ্রহণযোগ্য কারণ;

(চ) প্রার্থীর কোন অতিরিক্ত যোগ্যতা থাকলে (যা তিনি মূল আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় উল্লেখ করেছেন) সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক বলতে পারার মতো জ্ঞান;

(ছ) বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, খেলাধূলা ও শিল্প-সহিত্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।

উপরে যে ৭টি মানদন্ডের কথা বলা হলো, এর মধ্যেই পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। যদি কোন পরীক্ষার্থী এ সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তবে তিনি হাজার অতিরিক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন হলেও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারবে না।

যোগ্যতা অর্জনের উপায়সমূহ

(ক) সপ্রতিভ চেহারা, সাবলিল বাচনভঙ্গি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব: মনোবৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জন্মের সময় পৃথিবীর সবাই এই তিনটি গুণ নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। কেউ কারো চেয়ে দুর্বল ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। পরবর্তিকালে জীবনযুদ্ধের নানা টানাপোড়ন, বৈরী পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে কারো কারো এ সকল গুণাবলী লোপ পায়। যাদের লোপ বা কমে যায়, তারা এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন। সেই হীনমন্যতা বিসিএস ভাইভাবোর্ডেও তাদের ছাড়ে না। ফলে বিস্তর পড়াশোনা থাকা সত্ত্বেও সঠিক উপস্থাপনার অভাবে তাদের সকল প্রস্তুতি বিফলে যায়। আমাদের জানতে হবে এই বিফলে যাওয়ার কারণগুলো কি। কেন একজন পরীক্ষার্থী বিসিএস ভাইভাবোর্ডে সহজ হতে পারেন না? কেন পারেন না সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো উল্লেখ করা হলো।

(১) অতিরিক্ত কার্য সচেতনতা: এটি আসে অতিরিক্ত সিরিয়াসনেস থেকে। পরীক্ষার্থী তার পোশাক-আশাক, চেহারা ও আচরণ সম্পর্কে এতখানি সিরিয়াস হয়ে উঠেন যে, তিনি আর অন্য কোনদিকে মনোযোগ দিতে পারেন না। ভাইভাবোর্ডের সভাপতি বা সদস্যগণ কি বলছেন, তা তার কানে ঢোকে না। তিনি নিজেও কি বলবেন, তা গুলিয়ে ফেলেন।

তাঁরা আশা করেন, একেক জন প্রার্থীর চাল-চলন, বাচনভঙ্গি অবশ্যই একেক রকম হবে। তাবে তাতে সপ্রতিভ ও চটপটে ভাব প্রকাশ পাবে। কাজেই অতি দায়িত্ব সচেতনতা, যাকে ইংরেজিতে ‘পারফরমেন্স কনশাসনেস’ বলা হয়, তাতে অহেতুক কাতর হওয়া ঠিক নয়।

(২) মুদ্রাদোষ: ভাইভাবোর্ডে সহজ হতে না পারার আরেকটি কারণ হলো মূদ্রাদোষ। কোন কোন পরীক্ষার্থীর নানা রকম মূদ্রাদোষ দেখা যায়। কেউ কথা বলতে গিয়ে তোতলান, কেউ জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটেন, কেউ ঘনঘন ভ্রু কুঁচকান, কেউ কথা বলতে গিয়ে অহেতুক হাত নাড়েন, মূদ্রাদোষের কারণে এ সকল পরীক্ষার্থী হীনমন্যতায় ভোগেন, ভাইভাবোর্ডে আড়ষ্ট হয়ে থাকেন। কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না।

এ থেকে পরিত্রানের উপায় হলো, মৌখিক পরীক্ষার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রাকটিস করা; কাল্পনিক বোর্ডের সামনে মৌখিক পরীক্ষার রিহার্সাল দেয়া। এতে করে মূদ্রাদোষের পরিমাণ যেমন কমে আসবে, তেমনি আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

(৩) উচ্চারণের আঞ্চলিকতা: উচ্চারণে আঞ্চলিকতাদুষ্ট হওয়া বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এমন কোন আঞ্চলিক শব্দ যেন ভাইভাবোর্ডে বলা না হয়, যা সম্পূর্ণ বাক্যের অর্থই পাল্টে ফেলে। পরীক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে উচ্চারণের অল্পস্বল্প আঞ্চলিকতা দোষণীয় নয়, তবে গুরুতর আঞ্চলিকতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। এ ক্ষেত্রে আগের মতোই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ চর্চা করা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যে কোনো আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত উচ্চারণ কর্মমালায় ভর্তি হয়ে গেলে।

(খ) নিজের অধ্যয়নকৃত বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা: পরীক্ষার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন, সে বিষয় মোটামুটি স্বচ্ছ ধারনা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ভাইভাবোর্ডের প্রথম প্রশ্ন হতে পারে তার অধ্যয়নকৃত বিষয় সম্পর্কে।

(গ) নিজের জন্মস্থান সম্পর্কে খুটিনাটি জ্ঞান: পরীক্ষার্থীকে তার জন্মস্থান সম্পর্কে বিশদ জানতে হবে। জন্মস্থানের নামকরণ, আদি ইতিহাস, আয়তন, জনসংখ্যা, প্রথান কৃষিজাত দ্রব্য, খনিজ সম্পদ, উক্তস্থানে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ ও মুখস্থ করতে হবে। অনেক সময় দেখা গেছে, কেবলমাত্র জন্মস্থান সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে পরীক্ষার্থীকে ভাইভবোর্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

(ঘ) প্রার্থী যে ক্যাডার বা পদে যেতে ইচ্ছুক, ঐ ক্যাডার বা পদ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা: অনেক সময় দেখা যায়, প্রার্থী যে ক্যাডার/পদ-এ যেতে ইচ্ছুক ঐ ক্যাডার/ পদ সম্পর্কে প্রার্থীর কোন ধারণা নেই। বিসিএস ভাইভাবোর্ডে এটি গুরুতর গলদ হিসেবে দেখা হয়।

(ঙ) প্রার্থী তার পছন্দের ক্যাডার/ পদ-এ কেন যেতে ইচ্ছুক তার গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যাখ্যা: বিসিএস ভাইভাবোর্ডে প্রার্থীকে প্রায়শই একটি কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। প্রশ্নটা হলো এই, আপনি কোন অমুক ক্যাডার/ পদ-এ যেতে চাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অধিকাংশ প্রার্থীই মানানসই বক্তব্য রাখতে পারেন না; সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। কখনো কখনো প্রার্থীর অর্বাচীনসুলভ উত্তরে বোর্ড বিরক্ত হয়। বোর্ডের হাতে সুযোগ এসে যায় প্রার্থীকে ঘায়েল করার। এ থেকে পরিত্রানের একমাত্র পথ হলো গুছিয়ে কথা বলা, সঠিক ও বুদ্ধিদিপ্ত উত্তর দেয়া, পারতপক্ষে কম কথা বলা। কিছু কিছু ক্যাডার/ পদ আছে, যেখানে দুর্নীতির সুযোগ অত্যাধিক। যেমন- পুলিশ, কাস্টম এন্ড এক্সাইজ ইত্যাদী। প্রার্থীর পছন্দের তালিকায় এ সকল ক্যাডার রয়েছে কি না বা এসব পদ-এ যেতে চাইছেন কি-না সেটাও যাঁচাই করা হয়। এ ধরনের প্রশ্নে প্রার্থীকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে উত্তেজিত হলে চলবে না।

(চ) প্রার্থীর কোন অতিরিক্ত যোগ্যতা থাকলে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক জ্ঞান: প্রার্থীর মূল আবেদনপত্রে যদি অতিরিক্ত যোগ্যতার বর্ণনা থাকে, তাহলে ভাইভারোর্ডে সে সম্পর্কে প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়। যেমন খেলাধূলা, অভিনয়, সঙ্গীত, সাহিত্যকর্ম ইত্যাদি। প্রার্থীকে এ সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ভাইভাকক্ষে যেতে হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঐ বিষয়ের খবরাখবরও তাকে রাখতে হবে।

(ছ) বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান: মৌখিক পরীক্ষার জন্য এ অংশটিই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে প্রার্থী তার দেশ ও পারিপার্শ্বিক জগত সম্পর্কে কতখানি ওয়াকিবহাল, তা যাচাই করার জন্য প্রার্থীকে এ পর্যায়ে প্রচুর প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।

দৈনন্দিন সংবাদপত্র/ সাময়িকী পাঠ, রেডিও-টিভিতে দেশ ও বহির্বিশ্বের সর্বশেষ ঘটনাপ্রবাহ অবহিত হওয়া-এ সকল উপায়েই কেবলমাত্র মৌখিক পরীক্ষার এ অংশের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হতে পারে।

ভাইভবোর্ডে যা যা বর্জনীয়

ভাইভবোর্ডে করণীয় যেমন আছে, তেমনি বর্জনীয়ও আছে অনেককিছু। এ সম্পর্কে প্রার্থীর জ্ঞানের অভাব অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনও হতে পারে, প্রার্থীর অঢেল জ্ঞান ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র বর্জনীয় স্বভাবের কারণে তাকে ভাইভাবোর্ড থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ফল নিয়ে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। দাঁড়াতে হচ্ছে অযোগ্যদের কাতারে। এমন পরিস্থিতে যাতে না হয়, সেজন্য বিসিএস পরীক্ষার্থীকে বর্জনীয় বিষয়গুলো জানতে হবে। তাকে সতর্ক হতে হবে যাতে ভাইভা বোর্ডে এগুলো পরিহার করা যায়। অন্যথায় দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ভেস্তে যেতে পারে। নীচে ভাইভবোর্ডে বর্জনীয় বিষয়ের একটি তালিকা দেয়া হলো-

১. চুইংগাম বা ঐ জাতীয় কিছু মুখে নিয়ে ভাইভাবোর্ডে প্রবেশ করা;

২. চোখে লাগে, এমন উৎকট রঙের (যেমন, টকটকে লাল বা কটকটে হলুদ) জামা পরা;

৩. গাঢ় রঙের সানগ্লাস পরে আসা;

৪. হাই তোলা;

৫. গা চুলকানো;

৬. দাঁত পরিস্কার করা;

৭. কান খোঁচানো;

৮. চেয়ারে বসে পা নাচানো;

৯. কথার মাঝখানে কথা বলা;

১০. বোর্ডের প্রশ্নে মনোযোগ না দেয়া;

১১. অমনোযোগীর মতো অঙ্গভঙ্গি করা;

১২. আলোচনার মধ্যে উত্তর বা পরবর্তী প্রশ্নের কথা চিন্তা করা;

১৩. উত্তেজিত বা রাগান্বিত হওয়া;

১৪. বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হওয়া।

Post a Comment

0 Comments